ঢাকা,সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

জন্মের পরই শিশু পাবে ১০ ডিজিটের ইউআইডি নম্বর

নিজস্ব প্রতিবেদক ::  নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে ১০ ডিজিটের ইউনিক পরিচিতি নম্বর বা ইউআইডি পাবে প্রতিটি শিশু। এটি একইসাথে জন্ম নিবন্ধন, জাতীয় পরিচয় বা এনআইডি, পাসপোর্ট, করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) ও ব্যাংক একাউন্টসহ আরো অনেক কিছুর নম্বর হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ফলে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত ওই শিশুকে আলাদা করে একাধিক নাম্বার মনে রাখতে হবে না।

শিশুর বয়স ১০ বছর পূর্ণ হলেই তার ইউনিক আইডি নম্বর বহাল রেখে তাকে এনআইডি কার্ড দেয়া হবে। শিশুদের ১০ বছর পূর্ণ না হলে আঙুলের ছাপসহ অন্যান্য বায়োমেট্রিক পূর্ণতা পায় না বলে প্রতিটি শিশুকে এনআইডি কার্ড পেতে অপেক্ষায় থাকতে হবে। তবে ইউনিক আইডি নম্বরের মাধ্যমে ১০ বছরের নিচের শিশুরা এনআইডির সুবিধা ভোগ করতে পারবে।

নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের (এনআইডি উইং) মহাপরিচালক ব্রি. জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে এক বছর ধরে আমাদের প্রস্তুতি চলছে। আমরা এখন প্রস্তুত। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই ইউনিক আইডির কাজ শুরু হয়ে যাবে বলে আশা করছি।

এনআইডি উইংয়ের সংশ্লিষ্ট একজন কর্মকর্তা জানান, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন কর্তৃপক্ষের এনআইডি উইংয়ের গত ২ জানুয়ারি এ বিষয়ে চুক্তি হয়েছে। ইউআইডির জন্য জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন সিস্টেম ও জন্ম নিবন্ধন সিস্টেম দুটি জাতীয় পরিচয়পত্রের ইউআইডি সিস্টেমের সঙ্গে যুক্ত থাকবে। ইতিমধ্যে ১৮ বছরের ওপরের বয়সীদের অর্থাৎ নিবন্ধিতদের ইউআইডি নম্বর তৈরি হয়ে গেছে। যারা এখনো ১৮ বছরের নিচে ও এখনো ভোটার হিসেবে নিবন্ধিত হয়নি তাদের নির্ধারিত পদ্ধতিতে ইউআইডি দেয়া হবে।

ওই কর্মকর্তা বলেন, ইউআইডি ব্যবস্থার ফলে জন্মের পর থেকে ১৮ বছর বয়সী একটি জনগোষ্ঠীকে একটি ডাটাবেইসের আওতায় আনা সম্ভব হবে। এর ফলে কিশোর অপরাধ কমানোও সম্ভব হবে।

জানা গেছে, প্রায় একই ধরনের একটি ব্যবস্থা প্রতিবেশী দেশ ভারতেও শিশুদের জন্য চালু হতে যাচ্ছে। ‘বাল আধার’ নামে ভারত পাঁচ বছরের কম বয়সীদের জন্য চালু করতে যাচ্ছে ভারত সরকার। সম্প্রতি ইউনিক আইডেন্টিফিকেশন অথরিটি অব ইন্ডিয়ার (ইউআইডিএআই) পক্ষ থেকে এই তথ্য জানানো হয়েছে। এই আধার কার্ডের রঙ বড়দের কার্ডের রঙ থেকে ভিন্ন হবে। নিকটস্থ আধার নথিভুক্তিকরণ কেন্দ্রে গিয়ে প্রাপ্তবয়স্কদের মতোই শিশুদের ক্ষেত্রেও ফরম পূরণ করতে হবে। এরপরেই তাদের আধার কার্ড দেয়া হবে। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের বায়োমেট্রিক তথ্য সংগ্রহ করা হলেও আধার নথিভুক্তিকরণ কেন্দ্রে শিশুদের ক্ষেত্রে সেটা করা হবে না। আধার নথিভুক্তিকরণ কেন্দ্রে গিয়ে যাবতীয় কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করার পর ৬০ দিনের মধ্যে ‘বাল আধার’ পাওয়া যাবে। শিশুদের এই আধার কার্ড প্রাপ্তবয়স্ক না হওয়া পর্যন্ত বৈধ থাকবে।

ভারতের এই উদ্যোগ সম্পর্কে ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ সাইদুল ইসলাম বলেন, কোনো দেশের পদ্ধতি অনুসরণ করা হচ্ছে না। নিজেদের পরিকল্পনানুযায়ীই নিজস্ব পদ্ধতি গড়ে তুলছি।

পাঠকের মতামত: